দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ঝালকাঠির বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে থাকা বেইলি সেতুগুলো এখন ঝুঁকিপূর্ণ মরণ ফাঁদে পরিণত। বহু পুরাতন এসব সেতু মাঝেমধ্যে মেরামত করা হলেও কদিন না যেতেই আবার আগের অবস্থা হয়ে যায়। প্রায়ই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, তাদের অধীনে থাকা জেলায় ৪১টি বেইলি সেতুর সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের পক্ষ থেকে এগুলো জোড়াতালি দিয়ে চলাচলের উপযোগী রাখার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে সড়ক বিভাগ থেকে। সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ মানুষ বলছেন, সেতুগুলো দায়সারাভাবে মেরামত করায় ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির বাসন্ডা এলাকার বেইলি সেতুটি চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বরিশাল বা ঝালকাঠি থেকে খুলনা, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটাগামী শত শত যানবহন প্রতিদিন সেতু দিয়েই চলাচল করে। অনেক দিন ধরে সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চালক ও যাত্রীরা জানান, যাত্রীবাহী বাস বা ট্রাক উঠলে এ সেতু দোলনার মতো দুলে ওঠে। এ ছাড়া এই সেতুর বিভিন্ন প্লেট আলগা হয়ে আছে। প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনা ঘটে। এই সেতুতে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে পঙ্গু হয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা। শুধু বাসন্ডা নয়, সদর উপজেলার বেশাইনখান ও তারাপাশার দুটি, রাজাপুরের বাগড়ী ও নৈকাঠি বেইলি সেতুসহ জেলার ৪১টিই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেতুগুলো শিগগিরই মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ করা না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলমান রয়েছে। অনুমোদন হলেই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুগুলোর পরিবর্তে সেখানে নতুন ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply